নিজস্ব প্রতিবেদক: নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে নাগরিকদের আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্কুল জীবন থেকেই শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক আইন শেখাতে হবে। আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় নিরপাদ সড়ক দিবসের কর্মসূচিতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা হলে গাড়ি ভাংচুর ও চালকের গায়ে হাত দেয়া বন্ধ করতে হবে।
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষ্যে বিআরটিএ’ এই আয়োজন করে। দেশে চতুর্থবারের মত অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয় থেকে এই অনুষ্ঠানটি ঢাকার পাঁচটি বড় বাস টার্মিনালেও সম্প্রচার করা হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্কুল জীবন থেকেই শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক আইন বিষয়ে সচেতন করতে হবে। চালকের পাশাপাশি গাড়ির হেল্পারদের জন্যও ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যক্তিগত গাড়ির চালকদের প্রতি আরো যত্নশীল হওয়ারও তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সড়কে মানুষের যানমালের নিরপাত্তা নিশ্চিতে চালকদের ডোপটেষ্ট ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। দুর্ঘটনার সাথে সাথেই চালককে গণপিটুনি না দিয়ে আইনের হাতে তুলে দেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, নির্ধারিত স্থান ছাড়া রাস্তা পারাপারে কোন দুর্ঘটনা হলে তার দায় পথচারীর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়লে দুর্ঘটনা কমিয়ে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ন দেশ গঠন করা যাবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দেশবাসীকে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৯৩ সালের ২২ অক্টোবর বান্দরবানে স্বামী নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন। এর পর থেকে ইলিয়াস কাঞ্চন ‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’ নামে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। নিসচার আন্দোলনের ফল স্বরুপ ২০১৭ সালের ৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ওই বছর থেকেই বাংলাদেশে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়ে আসছে।